রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের সেই পুকুরে আরও দুটি মর্টার শেল ও একটি রকেট লঞ্চার পাওয়া গেছে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ শামসুজ্জোহা হল সংলগ্ন পুকুরে শুক্রবার সকালে এই বিস্ফোরকগুলো পাওয়া যায়।
বধ্যভূমি এলাকার পুকুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের এক কর্মচারী এগুলো দেখতে পেয়ে পাশেই নিরাপত্তায় নিয়োজিত পুলিশকে জানায়। পরে পুলিশ গিয়ে দুটি মর্টার শেল ও একটি রকেট লঞ্চার দেখতে পান।
রাজশাহী মেট্রোপলিটন পুলিশের মতিহার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সিদ্দিকুর রহমান এ তথ্য নিশ্চিত করেন। এগুলো নিস্ক্রিয় করার জন্য সেনাবাহিনীকে জানানো হয়েছে বলেও জানান তিনি।
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক লুৎফর রহমান নিউজবাংলাকে বলেন, ‘আমরা বিষয়টি নিশ্চিত হয়েছি। যেখান থেকে এগুলো উদ্ধার হয়েছে, পাশেই পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর ক্যাম্প ছিল। ধারণা করা হচ্ছে, এগুলো মুক্তিযুদ্ধকালীন সময়ের।’
তিনি বলেন, ‘এর আগে মঙ্গলবার ওই পুকুর থেকেই একটি মর্টার শেল উদ্ধার করা হয়। পুকুরে মাছের খাবার দেয়ার সময় এটি লক্ষ্য করেন মাছচাষি শরীফ আহমেদ। পরে তিনি বিষয়টি স্থানীয়দের জানালে তারা পুলিশকে খবর দেয়। পুলিশ গিয়ে মর্টারশেলটি চারদিকে থেকে ঘিরে রাখে। বৃহস্পতিবার বগুড়া থেকে সেনাবাহিনীর বোম ডিসপোজাল ইউনিট এসে মর্টার শেলটি নিস্ক্রিয় করেন। আজও যে তিনটা পাওয়া গেছে এগুলো নিস্ক্রিয় করার জন্য তাদের বলা হয়েছে।’
প্রক্টর আরও বলেন, ‘মুক্তিযুুদ্ধের সময় এখানে পাক সেনাদের ক্যাম্প ছিল। ধারণা করা হচ্ছে, এখানে আরও বিস্ফোরক থাকতে পারে। সেনাবাহিনীর সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে এখানে অনুসন্ধানের জন্য লিখিতভাবে জানানো হবে। যদি ঝঁকিপূর্ণ কিছু থাকে সেগুলো তাদের পরামর্শেই ঝুঁকিমুক্ত করা হবে।’
যারা এ এলাকায় চলাচল বা চাষাবাদ করেন বিপদ এড়াতে সেখানে চলাচল বন্ধসহ প্রয়োজনীয় উদ্যোগ নেয়া হবে বলে জানান প্রক্টর।